অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বাংলাদেশের জনজীবনে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। ফলে চরম বিপাকে রয়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছি ও দিনাজপুরে। দেশের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মাঘের কনকনে ঠাণ্ডায় স্থবির সারাদেশ। সাথে হিমেল বাতাস ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। কয়েক জেলায় সূর্যের দেখা মিললেও, মেলে না উত্তাপ। শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গা আজ সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ এর নিচে থাকায় সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ, এমনটা জানিয়েছেন দিনাজপুরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। প্রবাহ ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায়, পাবনা জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার রাতে পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা ও জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী স্বাক্ষরিত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা ঐ অঞ্চলের এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শৈত্যপ্রবাহের ছোবলে বিপর্যস্ত রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারাও। উত্তরীয় হিমেল হওয়ায় বাড়ছে কনকনে শীত। আবহাওয়াবিদ মোঃ শাহিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, সামনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২/১ দিন রোদ কম থাকতে পারে। কিছুটা মেঘলা আবার কিছুটা বৃষ্টি এ রকমভাবে চলতে পারে।
Leave a Reply